পিচাশের হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার ঘটনা

  


আমি সিংগাপুরে থাকা একজন প্রবাসি। আমি যেই ঘটনা শেয়ার করব সেই ঘটনাটি ঘটে আমার মামার সাথে এবং এটা আমি শুনেছি আমার মায়ের কাছ থেকে এবং ঘটনাটি সততা যাচাই করেছি আমার মামার কাছ থেকে, ঘটনাটি সত্য।ঘটনাটি ঘটে ১৯৮০ সালের দিকে। ঘটানাটি ঘটে আমার নানুর বাড়ির সাথে  এক যায়গায় তাই আমি সেই যায়গার একটু বর্ননা দেই।নানাদের বাড়িটা ছিল বড়, বাড়ির সাথে পুর্ব পাশে ছিল একটা দিঘি। দিঘির দক্ষিন পাশে ছিল বিল এবং পশ্চিম পাশে ছিল একটা মাঠ আর দিঘির চারপাশ ঝোপঝারে ভরা ছিল এবং একটা বাশঝারও ছিল। আমার সেই মামা আর্মি তে কর্মরত ছিল, তিনি ২মাসের ছুটি তে বাড়িতে আসে। তখন গ্রিস্মকাল থাকায় প্রচন্ড গরম পরে। এক রাতে গরমের কারণে রাত ১২থেকে ১২:৩০ এরকম সময় তিনি দিঘির পারে এসে বসে মনের আনন্দে গুনগুনাচ্ছিল।কিছু সময় যাওয়ার পর সে শুনতে পেল কে যেন তাকে নাম ধরে ডাকছে। তারপর সে বুঝতে পারল যে তার চাচা তাকে ডাকছে। মামার নাম ছিল রশিদ।তার চাচা তাকে বলল কিরে এত রাতে এখানে কি করিস।মামা বলল, অনেক গরম পরেছেতো তাই বসে বসে বাতাস খাচ্ছি।তো তার চাচাও বলল গরম পরার কারনে আমিও বেরিয়েছি চল দুজনে হেটে আসি।মামা বলল কোথায় যাবেন।তার চাচা বলল মাঠের মধ্য দিয়ে হেটে আসি।কথা মতো তারা দুজনে মঠের মধ্য দিয়ে হাটা শুরু করল।এই মাঠ কে কেন্দ্র করে অনেক ঘটনা ঘটেছে এই গ্রামে, কেউ কেউ দেখেছে মাথা ছাড়া কোন একটা প্রানি হাটতে আবার কেউ দেখেছে মাথা নেই বুকের উপরে চোখ,এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে এই মাঠ কে নিয়ে।তো মামা খুব সাহসি ছিলেন এবং তিনি মনে করলেন তার চাচা তো তার সাথেই আছে।তাই তিনি কিছু মনে না করে তার চাচার সাথে হাটতে থকলো। কিছু দূর যাওয়ার পর মামা খেয়াল করল যে তার চাচা তার থেকে দুরুত্তে চলে গেল প্রায় ৬/৭হাত দূরে।তার পর মামা লক্ষ্য করলো যে তার চাচা তার সাথে কথা বলছে না। সে যতই প্রশ্ন করে তার চাচা তার সাথে কথা বলছে না।তার পর  তার নাকে একধরনের বিস্রি মাছের গন্ধ অনুভব করল। যাকে গ্রমের ভাষায় বলে আস্টে গন্ধ।মামা তার চাচা কে যতই ডাকে তার চাচা তার কোন কথার জবাব দেয় না। সে তার চাচা দূরত্ব টা কমানোর জন্য সামনে দ্রুত হাটে, কিন্তু কোনভাবেই দূরত্ব কমে না।এভাবে ১০ মিনিট হাটতে হাটতে গ্রামের শেষ প্রন্তে চলে গেছে। তারা যখন বেরিয়ে ছিল তখন আকাশে হালকা হালকা মেঘ ছিল। ততক্ষনে আকাশ পরিষ্কার হ'য়ে গেছে। তারপর মামা চাঁদের আলোয় যা দেখল সেটা দেখার জন্য মামা মোটেও প্রস্তুত ছিল না। মামা দেখল তার চাচার পা মাটিতে নেই সে যেন  মাটি থেকে ১বিগত উপরে ভাসছে বাতাসে। এটা দেখে সে খুব ভয় পাইছে,সে বুঝতে পারল যে এটা তার চাচা না,কোন খারাপ কিছু তার ক্ষতি করার জন্য এখানে নিয়ে এসেছে। এই সময়ে ভয় পাওয়াটা সাভাবিক।তার পর মামা মনেমনে চিন্তা করলো সে বাড়ির দিকে দোর দিবে। সেই চিন্তা করে যখনই মামা ঘুরলো তখনি সেই জিনিসটা খোপ করে তার হাত টা চেপে ধরে। মামা বলল মামা যত ইচ্ছে ছোটা চেষ্টা করতেছি দোস্ত করতেছি সে আরো তাকে চেপে ধর ওই জিনিসটা যখন তার হাত ধরেছিল তখন তার মনে হয়েছিল বড় বড় খেজুর কাটা  যেনো তার হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিলো,খুবই পিছ ছিল যেন মোবিল মেখে ধরেছে,এবং মাছের বিস্রি আস্টে গন্ধ।মামা যতই   পারাপারি করল কিন্তু এটার হাত থেকে বাঁচতে পারতেছে না সে আর ওই জোরে চেপে ধরে থাকে তাকে।যতই দোয়া কেরাত পড়ার চেষ্টা করে কিন্তু তার মুখ থেকে কোন কিছু বের হইতাছে না তার মুখে কোন চিৎকার হইতাছে না।সে পারাপারি মধ্যে দেখল যে, যে পিচাসটা তাকে ধরে আছে সেটার পা উল্টোদিকে ঘুরানো তার মানে মুরালি গুলো সামনের দিকে আর পায়ের আঙ্গুলের পিছনের দিকে।আল্লাহর রহমতে  তার মনের অজান্তে তার মুখ থেকে দোয়া বের হওয়া শুরু হয় ।একপর্যায়ে মামা তার হাত থেকে বেঁচে নিজেকে রক্ষা করে দৌড়াতে থাকে। দৌড়াতে দৌড়াতে দোয়া কেরাত যা মনে আসতে ছিল সেগুলো পড়তে ছিল। যখন সে দেখলো যে সে তার বাড়ির কাছাকাছি চলে আসছে তখন তাকে পিছ থেকে ওই পিচাস্ বলল তুই আজ বেঁচে গেলি আমার হাত থেকে। তোর মায়ের দুধের অনেক শক্তি। 

এই ছিল কাহিনি।

Post a Comment

Previous Post Next Post

{ad}

{Ad}